শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

এসএসসিতে সানশাইনের সাফল্য, ৬ মেধাবী পেল জিপিএ-৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সানশাইন মডেল হাই স্কুল এসএসসি পরীক্ষায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে।

এ বছর নিয়ে ৩য় বার প্রতিষ্ঠানটি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছে। এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩০ জন। ৬ টি জি পি এ -৫ সহ ২৯ জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ জন পরীক্ষার্থী জি পি এ-৪ পেয়েছে এবং ১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ৩.৯৪ পেয়েছে। এক জনের ফলাফল স্থগিত। এর মধ্যে ৩ জন হল স্কাউট শিক্ষার্থী।

জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবীরা হল ফারহানা ফৌজিয়া, তিথি সাহা, মোহতাসিম শাহরিয়ার রাতুল, মেহেদী হাসান মিলন, মোঃ অারিফুল ইসলাম রায়হান, শফিউল অালম অনিক। তারা সবাই জে এস সি ও পি ই সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ সহ বৃত্তি পেয়েছিল।

প্রথম বছর উক্ত বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩০ জন অংশগ্রহণ করে ৬ টি জিপিএ-৫ সহ শতভাগ সফলতা অর্জন করে।

দ্বিতীয় বছর ৩৭ জন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে ১ টি জিপিএ-৫ সহ ৩৪ জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। উপজেলার এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছরই পি ই সি ও জে এস সি পরীক্ষায় শতভাগ পাশসহ উপজেলায় প্রথম স্থান লাভ করে থাকে।

এ বছর পি ই সি পরীক্ষায় ৪০ জন অংশগ্রহণ করে ২৯ টি জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাস করে এবং প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ২৭ টি ট্যালেন্টপুলসহ মোট ২৮ টি বৃত্তি লাভ করে। যা উপজেলায় সর্বোচ্চ।

জেএসসি পরীক্ষায় ৬০ জন অংশগ্রহণ করে ১০ টি জিপিএ-৫ সহ শতভাগ শফলতা অর্জন করে। ৬ টি ট্যালেন্টপুল ও ১৫ টি সাধারণ বৃত্তিসহ মোট ২১ টি বৃত্তি লাভ করে যা উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ২০০৪ সালে বাহুবল উপজেলার মিরপুরে মানসম্মত শিক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সানশাইন স্কুল।
শুরু থেকে এ পর্যন্ত এলাকাবাসীর সহযোগিতায় হাটিহাটি পা পা করে বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৭ শতাধিক এবং শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ জন।

প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকার্যক্রম চালু ছিল, পরে অভিভাবকের চাহিদার পরিপেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে ১০ ম শ্রেণি পর্যন্ত করা হয়েছে।

বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী বাহুবল উপজেলা ছাড়াও বাহিরের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে অধ্যয়ন করতেছে। বিদ্যালয়টিতে ভাল পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষার্থী সফলতা অর্জন করেছে।

বিদ্যালয়ের ফলাফলের পিছনে কাদের অবদান বেশী প্রশ্ন করলে তিনি জানান, এই স্কুলের শিক্ষকরা খুবই আন্তরিক, তারা ছেলেমেয়েদেরকে নিজের সন্তানের মতো দেখেন, প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজ খবর রাখেন এবং অভিভাবকরা আন্তরিক, যে কারনে বিদ্যালয়ের ফলাফল অন্য বিদ্যালয় থেকে আলাদা।

বিদ্যালয়টিতে পড়লেখার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থা। অানন্দের সাথেই ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়ালেখা করে থাকে।

বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও এখানকার শিক্ষকরা প্রতিদিন অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন। সানশাইন অনলাইন স্কুল নামে একটি পেইজ চালু করা হয়েছে। যাতে করে সকল ছাত্রছাত্রী ক্লাসে অংশ গ্রহন করতে পারে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com